মঙ্গলবার, ২২ Jul ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে বিল নিয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলার চেষ্টা, কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ১৯, আহত অর্ধশতের বেশি— ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সুমন-সোলাইমান-রনির নেতৃত্বে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের খাদ্যবহরেও হামলা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে: আদিলুর রহমান খান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা মাদকের অভয়ারণ্য লালমনিরহাট

আজ ভয়াল ২১ আগস্ট

ভিশন বাংলা ডেস্ক: আজ ভয়াল ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এ দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন সংসদের বিরোধীদল আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশ রক্তাক্ত হয় সন্ত্রাসের থাবায়।

শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। হাজার হাজার মানুষের স্রোত ছিল সমাবেশটিতে। মহাসমাবেশে রূপ নেয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের চতুর্দিক।

বিকেল ৪টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের পর শোক মিছিলের কর্মসূচি ছিল। প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা বিকেল ৫টার দিকে সমাবেশে পৌঁছান। বরাবরের মতো সেদিনও তিনি বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ জিপ থেকে নেমে নিরাপত্তাকর্মীবেষ্টিত অবস্থায় ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে উঠে বক্তব্য শুরু করেন।

২০ মিনিটের বক্তৃতা শেষে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে দক্ষিণ দিক থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। গ্রেনেডটি মঞ্চের পাশে রাস্তার ওপর পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। পরে একে একে আরো ১২টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মুহূর্তের মধেই পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

এ সময় কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দসহ দলীয় নিরাপত্তাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে শেখ হাসিনাকে ঘিরে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গাড়িতে করে সুধা সদনে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় শেখ হাসিনাকে বহনকারী গাড়িতেও গুলি চালানো হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরো ৩টি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতরা হলেন আইভি রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন ও ইসাহাক মিয়া।

এছাড়াও আহত হন দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এদিকে, দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বহুল আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, এনএসআইয়ের সাবেক দুই মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিমসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com